২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা রেজিমের পতনের পর; পরবর্তী নির্বাচন কখন অনুষ্ঠিত হবে তা নিয়ে রাজনৈতিক মতবিরোধ এবং সশস্ত্র বাহিনীর সাথে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার কারণে অন্তর্বর্তী সরকার স্থবির হয়ে পড়েছে বলে পর্যবেক্ষকরা বলছেন। দৃশ্যত, এটি ছিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন নেতা এবং নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস এবং দেশের তিনটি সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানদের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে একটি রুটিন রুদ্ধদ্বার বৈঠক।
এই প্রেক্ষাপটে, মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ ও নীতিনির্ধারকরা “মানবিক করিডর” গঠনের সম্ভাব্যতা নিয়ে ক্রমবর্ধমান আলোচনা করছেন। এটি একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত পথ, যা ত্রাণ সহায়তা ও বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসনকে সহায়তা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে এই ধারণা যেমন আশার আলো জাগায়, তেমনি এটি রাজনৈতিক বিতর্কেরও জন্ম দেয়। করিডরের প্রভাব শুধু মানবিক সহায়তার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি একটি ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হতে পারে।এই প্রবন্ধে আমরা এই ইস্যুর পূর্ণ মাত্রা—রাজনৈতিক স্বার্থ, নিরাপত্তা ঝুঁকি, ঐতিহাসিক উদাহরণ এবং এই করিডরের মাধ্যমে কীভাবে এই সংকটের গতিপথ বদলানো যায় তা বিশ্লেষণ করব।