দীর্ঘদিন ধরে শুল্ক ব্যবস্থাপনাকে একটি প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক কার্যক্রম হিসেবে দেখা হয়েছে—জটিল, কারিগরি, এবং প্রায়শই এটি বড় বড় বহিরাগত এজেন্ট বা স্থানীয় বিশেষজ্ঞ সেবাদাতাদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়। অতীতে তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল পরিবেশে, বহু প্রতিষ্ঠানের কাছে এটি ছিল “পর্দার আড়ালের কাজ”—উচ্চপর্যায়ের নির্বাহী সিদ্ধান্তগ্রহণ থেকে দূরে।কিন্তু এই মানসিকতা আর টিকছে না। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO), বিশ্বব্যাংক এবং UNCTAD-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে শুল্ক কর্তৃপক্ষ আনুমানিক ৬০০ থেকে ৯০০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত শুল্ক আদায় করেছে—যা বৈশ্বিক জিডিপির প্রায় ১%। বাণিজ্য উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে। একইসাথে, বৈশ্বিক বাণিজ্য ক্রমেই খণ্ডিত ও অনিশ্চিত হচ্ছে, উৎপত্তি-নিয়ম (rules of origin) কঠোর হচ্ছে, এবং কার্বন-সংক্রান্ত সীমান্ত ব্যবস্থা ও নিষেধাজ্ঞা বাড়ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনঃনির্বাচন বেইজিংয়ের সেই আশাবাদে তেমন একটা চিড় ধরাতে পারেনি যে তারা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আসা অব্যাহত হুমকি এবং বিশ্ব আধিপত্যের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না। এবং ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুর দিকের পদক্ষেপগুলো বেইজিংয়ের এই বিশ্বাসকে আরও দৃঢ় করেছে যে যুক্তরাষ্ট্র তার নিজস্ব পতনকে ত্বরান্বিত করছে, যা সমতার একটি নতুন যুগকে আরও কাছে নিয়ে আসছে। চীনের সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কোনো অস্তিত্বগত হুমকির মুখে পড়ার সম্ভাবনা নেই – এই ধারণা বেইজিংয়ের নীতিতে একটি স্থিতিশীল প্রভাব ফেলেছে।